RAHIMIA ALIM MADRASAH
KANAIGHAT,SYLHET. EIIN : 130382
সাম্প্রতিক খবর

 

রহিমিয়া আলিম মাদ্রাসার সৃষ্টির ইতিহাস ও ঐতিহ্য
 
 

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত, সে জাতি ততবেশী উন্নত। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির চুড়ান্ত শিখরে পৌছতে পারেনা। এসব বানী চিরন্তন সত্য। সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী ৪ নং সাতবাক ইউনিয়ন অত্যন্ত পরিচিত এক জনপদ এলাকার নাম। কানাইঘাটের পূর্বাঞ্চল প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) জনগনের বসবাস। এস ব প্রত্যন্ত এলাকায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর অবস্থান রয়েছে। এক সময় অত্র  এলাকায় শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে ছিল। তবে কিছু সংখ্যক মহান ব্যক্তির আর্ভিবাবে অত্র এলাকা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়। তাদের মধ্যে হযরত মাও: হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.) এর শিষ্য পীরে কামীল হযরত মাও: আব্দুর রহীম চরিপাড়ী (রহ.) ছিলেন অন্যতম। তিনি দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পর নিজ এলকায় শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় বৃটিশ আমলে ১৯৪০ সনে রহিমিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকাবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে তাঁরই নামানুমসারে মাদ্রাসার নাম রহিমিয়া আলিম মাদ্রাসা নামকরন করেন। পরবর্তীতে ঐ নামটি সরাকারের যথাযথ মহলে স্বীকৃতি পায়। মাদ্রাসাটি কানাইঘাটের পূর্বাঞ্চলে ৪ নং সাতবাক ইউনিয়নে পূর্ণাখলা মৌজায় অবস্থিত। প্রাথমিক পর্যায়ে মাদ্রাসার ক্যাম্পাস ছোট হলেও এলাকার সম্মানিত দাঁতা ব্যক্তিদের নি:স্বার্থ দানে মাদ্রাসার ক্যাম্পাস আরো সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে এক একর জায়গা রয়েছে। মাদ্রাসার ক্যাম্পাস সহ রেকর্ডভূক্ত জমির পরিমান ১৭৯ শতক। অত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে সর্বপ্রথম আলীম পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়। ১৯৮৪ সনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মাদ্রাসাটি এমপিও ভূক্ত হয়। অত্র মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণী থেকে আলিম শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। অত্র মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করে অনেক শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসায় পাঁচ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী বিভিন্ন শ্রেনীতে অধ্যয়ন করছে। প্রাচীন এ মাদ্রাসাটি পাবলিক পরীক্ষায়ও ভাল ফলাফল অর্জন করে। অত্র মাদ্রাসায় একটি তিন তলা বিশিষ্ট পাঁকা ভবন রয়েছে, তাছাড়া একটি আধা পাঁকা ও একটি মসজিদ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় অবকাঠামো স্বল্পতা থাকায় একাডেমিক ভবন প্রাপ্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে ১৫ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী এমপিওভূক্ত রয়েছেন। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় ২০১০ সালে মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগ চালু হয়। মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন: জনাব মাও: শরীফ উদ্দিন। আর গভার্ণিং বডির সভাপতির দ¦ায়িত্বে আছেন: ৪ নং সাতবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মস্তাক আহমদ পলাশ। এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এবং মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলীদের অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় মাদ্রাসাটি দিন দিন উন্নতির শিখরে আরোহন করছে। পরিশেষে, মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, এলাকাবাসী ও শিক্ষকবৃন্দ যারা খেদমত করে পরকালবাসী হয়েছেন তাদেরকে যেন আল্লাহপাক জান্নাতুল ফেরদৌস করেন।

 

 

মাদ্রাসার উত্তোরত্তোর সফলতা কামনা করি।